বাইডেন-কামালাকে শপথ পড়াবেন যারা

বুধবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।
শপথ নেয়ার পর কামালা হ্যারিস হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র।

তার এ শপথ নানান দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভুত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন কামালা।

শপথ গ্রহণের জন্য সোটোমায়রকে কামালা নিজেই পছন্দ করেছেন। তিনি শপথ গ্রহণের জন্য দুটি বাইবেল ব্যবহার করবেন। যার মধ্যে একটি সুপ্রীম কোর্টের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বিচারপতি থুরগড মার্শাল ব্যবহার করতেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে শপথ পড়াবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্ট।

এর আগে সকাল সাতটার দিকে শপথ নিতে ক্যাপিটল হিল চত্ত্বরে পৌঁছান জো বাইডেন এবং কামালা হ্যারিস। সঙ্গে ছিলেন বাইডেনের স্ত্রী জিলি এবং কামালার স্বামী ডগ এমহফ।

শপথ অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ‍ঢেকেব দেয়া হয়েছে পুরো ওয়াশিংন। মোতায়েন করা হয়েছে ২৫ হাজার সেনা সদস্য।

অভিষেকের আগে এক টুইট বার্তায়, শপথ অনুষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন দিনের সূচনা বলে আখ্যা দিয়েছেন বাইডেন।

এর আগে সকালে ওয়াশিংটনের ক্যাথলিক গির্জায় সস্ত্রীক প্রার্থনায় অংশ নেন জো বাইডেন।

প্রার্থনায় কামালা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা গেছে তার স্বামী ডগ এমহফকেও। তাদের সাথে ছিলেন সিনেটে রিপাবলিকান দলনেতা মিচ ম্যাককোনেল, প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলনেতা কেভিন ম্যাকার্থি এবং স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

তার আগে শেষবারের মত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে উড়ে যান মেরিল্যান্ডের যৌথ ঘাঁটিতে। সেখানে সমাপনী ভাষণ দেন তিনি।

বরাবরের মতই নতুন প্রশাসনের প্রতি শুভ কামনা জানালেও নাম নেননি বাইডেনের। জানান, তার প্রশাসন পরবর্তী প্রশাসনের জন্য যে ভিত্তি তৈরি করেছে তাতে দাঁড়িয়ে নতুন প্রশাসন খুব ভালো কিছু করবে বলে তিনি আশাবাদী। এসময় পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর সমালোচনা করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। বলেন, তিনি যে অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকে রেখে যাচ্ছেন বিগত দেড়শ’ বছরের মধ্যে কোনো প্রশাসন এতটা শৃঙ্খলায় রেখে যেতে পারেনি।

ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি নতুন প্রশাসনের অভিষেকে থাকবেন না। তার অভিযোগ, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তার কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয়ায় হয়েছে। ট্রাম্পসহ চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের উত্তরসূরির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।

এর আগে মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষভাবে গর্বিত প্রেসিডেন্ট আখ্যা দেন ট্রাম্প। বলেন, তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি কোনো দেশর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াননি।

এদিকে, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ইলেক্টোরাল ভোট গণনাকালে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা। আরও হামলা হতে পারে সেই আশঙ্কায় ক্যাপিটল হিলে ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।
Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post