উইন্ডিজকে পাত্তাই দিল না টাইগাররা

উইন্ডিজকে পাত্তাই দিল না টাইগাররা
সিরিজের ১ম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। 


শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে যায় সফররতরা। জবাব দিতে নেমে লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্বাগতিকদেরকে হারাতে হয় ৪ উইকেট। 

মিরপুরের শের-এ বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ম্যাচে ৭ জন ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। এরমধ্যে ৬ ক্যারিবীয় ক্রিকেটারের পাশাপাশি টাইগারদের পক্ষে অভিষেক হয় তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের। 

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ৯ রানে নিজেদের ১ম উইকেট হারায় তারা। নিজের ১ম ওভারে বোলিং করতে এসেই ব্রেকথ্রু দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তুলে নেন অ্যামব্রিসের উইকেট। 

আরেক ওপেনার জশুয়া ডি সিলভাকেও ফেরান মুস্তাফিজ। উইন্ডিজদের রান তখন মাত্র ২৪। 

এরপর শুরু হয় সাকিব আল হাসান ঝড়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ১ম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামেন টাইগার অলরাউন্ডার। তার স্পিন ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হতে থাকে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। 

আন্দ্রে ম্যাককার্থিকে বোল্ড করার মাধ্যমে শুরু। এরপর একে একে ফেরান জেসন মোহাম্মদ, বোনার ও আলজারি জোসেফকে। 

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আক্রমণে যোগ দেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদও। 

একপ্রান্তে হাসানের পেস ও অন্যপ্রান্তে সাকিবের স্পিনবিষে নীল উইন্ডিজরা, নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। ফলে মাত্র ৩২.২ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় ১২২ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মায়ার্স। এছাড়া রভমেন পাওয়েল করেন ২৮ রান। 

৭.২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন সাকিব। ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। আর মুস্তাফিজের শিকার ২ উইকেট। 

জবাব দিতে নেমে ধীরস্থির সূচনা এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। তাদের জুটিতে আসে ৪৭ রান। উইন্ডিজ স্পিনার হোসেইনের বলে বিভ্রান্ত হয়ে লিটন আউট হন ১৪ রান করে। 

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ৩-এ নামা নাজমুল হোসেন শান্তও। মাত্র ১ রান করে তিনিও শিকার হন হোসেইনের। 

অধিনায়ক তামিমের সঙ্গী সাকিব আল হাসান। ধীরেসুস্থে ব্যাট চালাতে থাকেন দু'জন। তবে ফিফটির আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হন তামিম। টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়কের সংগ্রহ ৪৪ রান। 

এরপর দলীয় ১০৫ রানে আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসানও। তার সংগ্রহ ১৯ রান। 

৪ উইকেট খোয়ানোর পরও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে ঝামেলা পোহাতে হয়নি দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। মুশি অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। রিয়াদের সংগ্রহ ৯ রান। 

সহজ জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা। 
Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post