ফুসফুসে ক্যান্সার কেন হয়, বুঝবেন কীভাবে?

ছবি সংগৃহীত
ছবি সংগৃহীত

ফুসফুসে ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যাধি। এটি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ অন্যান্য ক্যান্সার শনাক্তকরণে যে স্ক্রিনিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তা ফুসফুসে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে না।

তবে প্রথম অবস্থায় এই ক্যান্সার শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

ফুসফুসে ক্যান্সারের উপসর্গ

কাশি, জ্বর, গলার স্বর পরিবর্তন, কাশির সঙ্গে রক্ত কিংবা শ্বাসকষ্ট। এসব উপসর্গ দেখা দিলে মনে করতে হবে ক্যান্সার ফুসফুসে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

আর যদি ক্যান্সার ফুসফুসে না থেকে শরীরের অন্য কোনো জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে দেখবেন আরও কিছু উপসর্গ দেখা দেবে।

যেমন হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে প্রবল ব্যথা অনুভব হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যান্সার মস্তিষ্কেও ছড়িয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া লিভারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা কিংবা জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ

ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ হচ্ছে তামাক গ্রহণ। প্রতিদিন যারা দুই থেকে তিন প্যাকেট সিগারেট সেবন করেন এবং ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে সেবন করেন, এদের মধ্যে ৯০ ভাগ লোকের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার  ঝুঁকি বেশি।

এ ছাড়া পেশাগত কারণ– খনি শ্রমিক, বায়ুদূষণ, জেনেটিক এবং রেডিয়েশন অন্যতম কারণ।

পেশাগত কারণ যথা- কয়লার খনি, বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক, পেট্রোলিয়াম, কেমিক্যাল বা রাবার কারখানার শ্রমিক ও জাহাজ শ্রমিকদের বেশি হয়।

যারা এক্স-রে বিভাগে কাজ করে, যাদের রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়, এ ধরনের লোকদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার বেশি হয়।

চিকিৎসা

উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।  সার্জারি, রেডিও, কেমো, লেজার থেরাপি ইত্যাদি মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

লেখক:
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল

Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post