নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন ও যানজট নিরসনে অবিরাম কাজ করছে সিটি করপোরেশন। এতে সহযোগিতা করছে সিলেট মহানগর পুলিশ। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত এবং এ সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ইতোমধ্যে নগরীর লালদীঘিরপাড়স্থ খালি জায়গায় প্রায় ১২ শ হকারকে স্থানান্তর করেছে সিসিক ও এসএমপি কর্তৃপক্ষ।
শুধু হকার সরিয়েই শেষ নয়, এ সড়কে খানিক দূর দূর ‘হকারমু্ক্ত এলাকা’ লেখা সাইনবোর্ডও গেড়ে দেয়া হয়েছে। এতকিছুর পরও পুরোপুরিভাবে হকারদের নেয়া যাচ্ছে না লালদীঘিরপাড় মাঠে। যাদের উদ্দেশে ‘হকারমু্ক্ত এলাকা’ বা ‘রাস্তা ফুটপাতে বেচাকেনা নিষেধ’ লেখা রয়েছে তারা এসবের তোয়াক্কা করছেন না। প্রথম কিছুদিন তারা রাস্তায় না বসলেও গত কয়েকদিন থেকে আবারো তারা ফুটপাত দখল করে বসতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকায় এমন দৃশ্য বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তবে, পুলিশ দেখলে খানিক দূরে গিয়ে অপেক্ষা করেন, পুলিশ চলে গেলেই আবারও বসে যান ফুটপাতে।
রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে নগরীকে নান্দনিক রূপ দিতে হকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করেছে সিটি করপোরেশেন ও মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে নগরীর লালদীঘিরপাড়স্থ খালি জায়গায় প্রায় ১২ শ হকারকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে বদলে গেছে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারের দৃশ্য।
গত জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে বন্দর-চৌহাট্টা রাস্তায় যাতায়াতকারী লোকজন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। এছাড়াও বন্দর-চৌহাট্টা সড়কের ফুটপাতটি হকারমুক্ত হওয়ায় পথচারীরা বুক ভরে নিচ্ছেন স্বস্তির নি:শ্বাস।
কিন্তু হকাররা আবারও নষ্ট করে দিচ্ছেন এমন স্বস্তিদায়ক পরিবেশ। গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার ঘুরে দেখা যায়- সিলেট জেলা পরিষদ প্রশাসক কার্যালয়ের সামন থেকে সিলেট বিভাগীয় প্রধান ডাকঘরের সামন পর্যন্ত ফুটপাতে শতাধিক হকার বসে বিক্রি করছেন হরেক রকম পণ্য। এসব পণ্য তারা রাখেন ঝুড়িতে। ঝুড়িতে রশি বেঁধে ঝুলিয়ে রাখেন গলায়। যাতে পুলিশে এলে দিতে পারেন ভো দৌঁড়।
মাথার উপর খুঁটিতে ঝুলছে ‘হকারমুক্ত এলাকা’ লেখা সাইনবোর্ড। ঠিক সেই লেখার নিচে বসেই আয়না-চিরুনি-ঘড়ি বিক্রি করছেন একজন। আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদককে জানালেন, লালদিঘীরপাড়ে এখনও ঠিকভাবে জমে উঠেনি কেনা-বেচা। তাই তিনি ফুটপাতে চলে এসেছেন।
শুধু বন্দরবাজারই নয়, একই দৃশ্য জিন্দাবাজার ফুটপাতেও। তাছাড়া সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিদিনই ডাক বিভাগ কার্যালয়ের সামনে দেদারসে সবজি বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ হকাররা।