ভোলায় বৌভাবের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার বেলা ৩টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঘমারা গ্রামের ফরাজি বাড়িতে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত কনের মামা জাফর ও বরের ভাগ্নে নুরে আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মোসলেহ উদ্দিন ও শারমিন নামের দুইজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা মো. ভুট্টোর সৌদি প্রবাসী ছেলে আবু সাঈদের সঙ্গে একই এলাকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. তারেকের মেয়ে আছমা বেগমের বিয়ে হয়। রোববার দুপুরে বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনে পক্ষের নিমন্ত্রিত অতিথিদের বসা নিয়ে বর পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ৭ জন আহত হন।
এর মধ্যে বর পক্ষের মো. মিজান ও শাহাদাত মোটরসাইকেলে এসে কনের মামা মো. জাফরের (৩৫) বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন জাফর। খবর পেয়ে ভেলুমিয়া ফাড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, আহতদের ভোলা সদর হাসপাতাল আনার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যায় জাফর ও নুরে আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়। বরের ভাতিজি জামাই মোসলেহ উদ্দিন ও কনের চাচাতো বোন শারমিনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনাটিকে অমানবিক উল্লেখ করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর মিজান ও শাহাদত মোটরসাইকেলে করে এসে জাফরকে ছুরিকাঘাত করে। তাদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।