জাপানে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বয়স ৯০ বছরের উপরে। যার প্রায় ৭০ হাজারের বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। জাপানে গড় আয়ু ৮৪.২ বছর। গড়ে পুরুষেরা ৮১.১ বছর বাঁচেন। নারীদের গড় আয়ু আরো বেশি প্রায় ৮৭.১ বছর।
জাপানিদের এই দীর্ঘ আয়ু তাদের জেনেটিক গঠনের ফলাফল নয় বরং এটি খাদ্যাভ্যাস আর জীবন ধারার ফলাফল। জাপানের মানুষেরা প্রচুর টাটকা শাকসবজি, মৌসুমী ফল আর ঘরোয়া খাবার খান। ফলে জাপানের স্থুলতার হার মাত্র ৩.৬ শতাংশ যা পৃথিবীর সর্বনিম্ন। জাপানে সামুদ্রিক খাবার খুবই প্রিয় এবং মাংসের চাহিদা বেশ কম। প্রকৃতপক্ষে জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মাছ খাওয়া জাতিগুলোর একটি। মাছে কোলেস্টেরল এবং ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ খুবই কম।
ফলে জাপানে হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৬শতাংশ কম। জাপানিদের দীর্ঘ জীবনের আরেকটি কারণ অধিক পরিমাণ চা পান। চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ কফির চেয়ে অনেক বেশি। চা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ধ্বংস করে কোলেস্টরেল। জাপানিরা প্রচুর সয়া এবং সামুদ্রিক শৈবাল খান। এক কাপ সামুদ্রিক শৈবাল ২-৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এসব শৈবাল ও সামুদ্রিক মাছে প্রাকৃতিক আয়োডিন থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
জাপানের চিকিৎসাব্যবস্থা পৃথিবীর সবচেয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা। রাষ্ট্র চিকিৎসার ৯০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় বহন করে। জাপানিরা কর্মময় জীবন অতিবাহিত করে। জাপানিরা সাধারণত অফিসে যান হেঁটে বা সাইকেলে। বয়স্করাও যতদিন সম্ভব শারীরিক পরিশ্রম অব্যাহত রাখেন। প্রায় ৮৫ ভাগ জাপানি ঘুমানোর আগে গোসল করেন।