ই-পাসপোর্ট করার সময় কিছু basic গুরুত্বপূর্ণ তথ্য | Some basic important information while e-passporting

ই-পাসপোর্ট করার সময় কিছু basic গুরুত্বপূর্ণ তথ্য -



ই-পাসপোর্ট করার সময় কিছু basic গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


অনেকেই ছোটো খাটো জিনিস না জানার কারনে বড় হয়রানির শিকার হয় ফলে তারা পাসপোর্ট অফিসের দূর্নাম করে। হ্যা হয়তো ভুল থাকতে পারে কিন্তু নিজের তথ্য সংশোধন করে নিলে কিংবা আগে থেকে ভালো ধারনা রাখলে আর এই সমস্যা পড়তে হয়না


সমস্যা ১ঃ- ই-পাসপোর্ট ফুল নেম গিভেন নেম এবং সার নেম এ  ভুল হলে কি করবেন ?

অনেকে এই সিম্পল বিষয় না জানার কারনে ভুল করে ফেলে আমি ক্লিয়ার ধারনা দিতেসি এই সম্পর্কে যাতে আর ভুল না হয়।
আপনার নাম ধরেন Ahsan Ali তাহলে ফুল নেম হবে Ahsan Ali গিভেন নেম হবে Ahsan সার নেম হবে Ali 
আপনার নাম যদি তিন শব্দের হয় মানে Ahsan Mohammad Ali হয় তাহলে ফুল নেম হবে Ahsan Mohammad Ali গিভেন নেম হবে  Ahsan Mohammad সার নেম হবে Ali আশা করি আর সন্দেহ বা কনফিউশান থাকবে না !

সমস্যা 2:- ই-পাসপোর্ট এ Md নাকি Mohammad দিবেন ?  

সহজ ভাষায় আপনার NID তে যা আছে তা দিবেন Md থাকলে md mohammad থাকলে Mohammad মোদ্দা কথা পরিচয় পত্রে যা আছে তা দিবেন। 
আর মিডল ইস্টে এই md সমস্যা করে কারন md মানে মেনেজিং ডাইরেক্টর প্রফেশনালি আরকি তো আপনি কি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর? অবশ্যই না তাহলে মামের আগে ক্যান দিবেন এটা? ভিসা অফিস এইভাবে দেখে যার কারনে আপনার ভিসা হয় না সাধারনত। 
তাই যারা নতুন nid কার্ড করছেন তারা md/Mohammad কিছুই দিবেন না তাহলে ভবিষ্যতে ঝামেলা কমে যাবে। আর যাদের সময় আছে পারলে এখনই বাদ দিয়ে ফেলুন দেখবেন অনেক ইজি হই যাবে সব কিছু😊। আর না পারলে যেভাবে nid তে আছে তেমনই দিবেন ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অন্যান্য ভিসায় সমস্যা হবেনা।

সমস্যা ৩ঃ-ই-পাসপোর্টে  ডট দিবেন নাকি দিবেন না?

ডট দেয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।  না দেয়াই বেটার NID এ যদি ডট থাকলেও দেয়ার দরকার নাই। 

সমস্যা নং - ৪ - ই -পাসপোর্টে প্রফেশন কি দিবেন?

এটা গুরুত্বপূর্ণ স্টুডেন্ট হইলে আপনারে রানিং আইডি কার্ড শো করতে হবে যারা জব করেন তাদের noc+job id card+ প্রত্যয়ন পত্র লাগে। ব্যাবসায়ি হইলে ট্রেড লাইসেন্স মাস্ট। আর এইসব কিছু না থাকলে আনএমপ্লয়েড / আদার্স দিবেন।

সমস্যা নং ৫- ই -পাসপোর্টে ঠিকানা কি দিবেন?

অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ি ঠিকানা ঠিক না দিলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবেনা তাই nid কআর্ড এ যা আছে তাই দিবেন। বর্তমান ঠিকানা যদি একই জেলায় হয় তাহলে আমি সাজেস্ট করবো দুইটাই সেইম রাখতে কারন নাহলে দুইবার ভেরিফিকেশন হবে। আপনারে প্রেজেন্ট এড্রেসের ইউলিটি বিলের সাথে বাড়ি ভাড়া চুক্তি নামা দেয়া লাগবে। তাই খুব দূরে না হইলে দুইটাই সেইম দিবেন। 
\
সমস্যা নং ৬ঃ- MRP to E passport কি করলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবেনা? আর কি করলে হবে?

 আপনি ধরেন প্রফেশন,  ম্যারিট স্ট্যাটাস নাম স্থায়ী ঠিকানার হালকা কিছু তথ্য লাইক ওয়ার্ড নম্বর ইউনিয়ন এদিক সেদিক হইলে আপনার ভেরিফিকেশন হবে না।  যদি আপনার থানা/ উপজেলা/ জেলা চেইঞ্জ হয় কিংবা প্রেজেন্ট এড্রেস/ স্থায়ী এড্রেসই চেঞ্জ হই যায় আরেক জেলায় হয় তাহলে অবশ্যই ভেরিফিকেশন হবে, নচেত না।

সমস্যা নং ৭ঃ- পাসপোর্টে ঠিকানা/ প্রফেশন/ ম্যারিটিয়াল স্টাটাস/ নাম চেঞ্জ করতে হইলে কি ডকুমেন্ট শো করা লাগবে?

ঠিকানা হইলে ইউটিলিটি বিল+ নাগরিক সনদ + বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা( প্রেজেন্ট এড্রেসের ক্ষেত্রে)
প্রফেশনঃ- স্টুডেন্ট থেকে সার্ভিস হোল্ডার দিলে চাকুরি যোগদানের কাগজ+ আইডি কার্ড+ প্রত্যয়ন পত্র + noc 
ব্যাবসা দিলে ট্রেড লাইসেন্স।
ম্যারিটাল স্টাটাস এর ক্ষেত্রে বিয়ের কাবিন নামা বিয়ে যে হইসে এটার সম্পর্কিত যে ডকুমেন্ট আছে তা দিতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারন আপনি নাহইলে আপনার ওয়াইফ রে নিয়া বিদেশে যাইতে পারবেন না!

সমস্যা নং ৮ঃ-ই পাসপোর্টে   মায়ের/ বাবার একটু খালি ভুল অক্ষর এদিক সেদিক কি করবেন ?

যেমনে আছে তেমনিই রাখবেন পাসপোর্ট করতে পারবেন সমস্যা নাই। ট্রাভেলিং এও সমস্যা নাই সমস্যা হবে আপনি আপনার বাবা মা রে নিয়ে ঘুরতে গেলে/ স্পন্সর করে নিয়ে যাইতে যাইলে পারবেন না। স্টুডেন্ট ভিসায়ও সমস্যা করে।সমাধান কি? দুইটা কাজ করবেন এক ইউনিয়ন পরিষদ থেইকা একই নামের প্রত্যয়ন করবেন।  আর একজন এএডভোকেট থেকে এফিডেভিট করে নিবেন ব্যাস। আর নাহইলে হাতে সময় থাকলে NID চেঞ্জ করে ফেলেন।

সমস্যা নং ৯ঃ- পাসপোর্ট যদি হেরে যায় তাহলে করণীয় কি?

একটা জিডি করবেন তারপর সেই জিডির কপি করে নিউ এপ্লিকেশন করবেন ব্যাংক ড্রাফট করবেন পাসপোর্ট অফিসে যাই রিপ্ররট করবেন তারা লস্ট সার্কুলার ঘোষনা করবে এটা কালেক্ট করবেন। কইরা পাসপোর্ট অফিসে আবেদন পত্র দাখিল করবেন সব কিছু আগের মত

সমস্যা নং ১০ঃ- পাসপোর্ট হারাই গেসে এবং কোনো কপি টপি কিচ্ছু নাই পাসপোর্ট নম্বর নাই কি করবেন ?

আগে পাসপোর্ট অফিসে nid card নিয়া যাবেন গিয়ে রিকুয়েস্ট করবেন এনরোলমেন্ট অফিসার রে যে পাসপোর্ট এর ইনফো কালেক্ট করে দিতে এক বার দুইবার তিনবার যাবেন রিজেক্ট করলে। দরকার হইলে এডি স্যারের কাছে যাবেন যত বার দরকার হয়।  ধৈয্যহারা হবেন না। সেই তথ্য নিয়ে লস্ট সার্কুলার নিয়ে জিডি কপি দিয়ে নতুন করে আবেদন করবেন😊

সমস্যা নং ১১ঃ- আবেদন করার পর কোনো ভুল হইলে কি করবেন ?

এডি স্যার রে সুন্দর করে বলবেন সমস্যার কথা যে ঠিক করে দেন না করতে চাইলে কেন্সেল করে নিবেন। টাকা দি ফেললেও সমস্যা নাই আপনার টাকা এটার মেয়াদ এক বছর থাকে। 

সমস্যা নং ১২- ডেট পার হই যায়। যেকোনো স্টেজে ৭/১০/১২ দিন পার হই যায় বাট কোনো হদিস নাই কি করবো?

সেক্ষেত্রে ৭/১০ দিনের বেশী পেন্ডিং এপ্রুভাল এ থাকলে আপনার জেলায় ঢাকা/ চিটাগং বাদে পুলিশ সুপার কার্যালয় এ যাবেন গিয়ে জিগাইবেন ডিএসবি অফিস কোনটা?  কেনো জানতে চাইলে  ই পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করমু।  তারপর ফোন দিসে কিনা জানতে চাইলে বলবেন যে না নিজ থেকেই করবো পেন্ডিং অবস্থায় আছে আপনাদের কাছে আসছি তাই। 
যদি ভেরিফিকেশন হওয়ার পরও এপ্রুভড হইতে দেরি হয় তাহলে এডি স্যারের সাথে যোগাযোগ করবেন। 
যদি এনরোলমেন্ট ইন প্রসেস এ দুই দিনের বেশী পড়ে থাকে তাহলে এনরোলমেন্ট অফিসারের কাছে যাবেন। কাজ না হইলে এডি স্যারের কাছে। আশা করি দ্রুত কাজ হয়ে যাবে এতে।
সাদা জামা/ শার্ট পড়ে যাবেন না।
এনরোলমেন্ট এর দিন যেসব কাগজপত্র নিবেন সাথে বা সাজাবেন যেভাবে

প্রথমে এপ্লিকেশন সামারি ১ পেইজ
রেজিস্ট্রেশন কপি ৩ পেইজ
মেইন nid + আপনি আপনার মা বাবার nid ফটোকপি
ssc certificate 
Student id কার্ড/ job id card/ trade licance
নাগরিক সনদ
police verification  এর সময়
আপনার, মা বাবার nid কার্ড ফটোকপি 
নাগরিক সনদ
কারেন্ট বিল
ssc certificate 


Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post