প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সবকিছুতে এগিয়ে। তার নেতৃত্বে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছে। এখন বাংলাদেশের অগ্রগতি সন্দেহবাদীদের চোখেও দৃশ্যমান।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁতে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, একটি দেশের শক্তিশালী উন্নয়নের জন্য দরকার পরিশ্রমী মানুষ, দৃঢ় নেতৃত্ব আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এর সবই বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার হিসাব নিরীক্ষকদের সংগঠন সাফা’র দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, অগ্রগতিকে ধরে রাখতে সবচেয়ে দরকার হিসাবরক্ষক ও নিরীক্ষকদের স্বচ্ছতা। কারণ তারাই আগামীর বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
অনুষ্ঠানে মহাহিসাব নিরীক্ষক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আর্থিক কাঠামো কাগজ-কলম থেকে সরে ডিজিটাল পদ্ধতির দিকে যাচ্ছে। আর এজন্য দিন দিন দক্ষ হিসাব নিরীক্ষকের চাহিদা বাড়ছে। কারণ তার পরামর্শেই সাজানো হয় কোম্পানির পরিকল্পনা। তার স্বচ্ছতার ওপরই নির্ভর করে কোম্পানি লাভ করবে নাকি লোকসানের মুখে পড়বে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। এজন্য ব্যবসা-বিনিয়োগকে সহজ ও দ্রুত করতে ই-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ই-কমার্স খাতকে এগিয়ে নিতে এখাতের নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সাফা’র প্রেসিডেন্ট একেএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, হিসাবরক্ষক ও হিসাব নিরীক্ষকদের জবাবদিহিতা ও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমেই অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে।
দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন কনফারেন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইফাক), কনফেডারেশন অব এশিয়ান ফেডারেশন অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাকাউন্ট্যান্টস (কাপা), ইউরোপিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস অ্যান্ড অডিটরস ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম সাইজড এন্টারপ্রাইজেস, এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আফা), প্যান আফ্রিকান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (পাফা) প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী নেতারা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ৫টি টেকনিক্যাল সেশনে কী নোটসহ ৬টি পেপার উপস্থাপন করা হবে।