ঘরনা:-ড্রামা
ব্যাপ্তি:-১০২মিনিট
অভিনয়ে:-আবুল হায়াত স্যার,আফরান নিশো,তাহসান খান,জিয়াউল ফারুক অপূর্ব , রাইসা,অর্পা এবং আরো অনেকে।
★শিহাব শাহিন পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘দ্বিতীয় কৈশোর’। ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ব্যাপ্তির ফিল্মটি মনের কঠুরে যায়গা করে নেওয়ার মতো একটি সিনেমা। সিনেমাটির গল্প বর্তমান সময়ের কিছু ফ্যাক্ট নিয়ে এগিয়েছে।
বিয়ে করব কি করব না? কখন করব? দায়িত্ব নেওয়ার সময় হয়েছে কি হয়নি? বিয়ের পর বাচ্চা নেব কি নেব ন?নিলেও কখন নেব? মূলত এই তিনটি দিকই বেশি হাইলাইট করা হয়েছে গল্পে। একটা প্রাপ্তবয়সে পৌঁছানোর আগে ও পরে সামাজিক পরিচয় কেমন হয়ে ওঠে? বা কেমন হওয়া উচিত? তার একটা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে উক্ত সিনেমায়।
তিন বন্ধুর জীবনের মাধ্যমে পরিচালক আমাদের আশপাশের বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় তিন অভিনেতা অপূর্ব, তাহসান এবং নিশো।
★একজন কফিশপ চালান। সেখানে হুট করে একটা মেয়ে এসে হাজির।
তারপর সে যে পরিচয়টা দেয় তার জন্য সেই তরুণ প্রস্তুত ছিল না। একজন বিয়ে ভয় পায় বা এড়িয়ে চলে। অথচ সমাজের চোখে যা অনৈতিক তার সঙ্গে সে জড়িত। আরেকজন জীবনসঙ্গিনীর চাওয়াকে ইগনোর করছে। অতঃপর তারা সবাই ক্রাইসিসে পড়ে। যাদের ঘিরে তারা ক্রাইসিসে পড়েছে তারাই একসময় তিন তরুণের বিবেক জাগানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারপর ইমোশন, সোশ্যাল ভ্যালু এসবের সামনে দাঁড়িয়ে তারা ভাবতে থাকে অস্তিত্ব নিয়ে। শেকড়ে ফিরতে কি পারবে তারা? চরিত্র অনুযায়ী তিনজনই তাদের জায়গায় পারফেক্ট। সত্যি বলতে, পরিচালক তাদের সবার থেকে ভালো অভিনয় আদায় করে নিয়েছেন। ‘দ্বিতীয় কৈশোর’-এ আরও চোখে পড়ার মতো অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও রাইসা অর্পা। আবুল হায়াতকে দেখে অবাক হই, এই লোকটা এই বয়সেও এত দুর্দান্ত অভিনয় করেন! সঙ্গে রাইসা অর্পাও পাল্লা দিয়ে ভালো অভিনয় করেছে পুরো সময়।
শিহাব শাহীনের গল্প বলার ধরন বা প্রত্যেকটা সিনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমায় চোখে পড়েছিল। সত্যি বলতে, ২-১টা গান আর ভিলেনসহ মারপিটের দৃশ্য থাকলে এটি পূর্ণাঙ্গ একটি বাণিজ্যিক সিনেমা হয়ে যেত।
আরেকটা বিষয়, এই ওয়েভ ফিল্মে আন্তর্জাতিক সিনেমার একটা মৃদু স্বাদ পাওয়া যায়, যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ‘দ্বিতীয় কৈশোর’-এর গল্পের বিষয় নির্বাচন, বুনন, অভিনয়, প্রেজেন্টেশন দিয়ে দর্শকের চোখের ও মনের খোরাক ভালোভাবেই মেটানো যাবে। ১০২ মিনিটের এই ওয়েব সিনেমা দেখার সময় বোর ফিল হওয়ার সুযোগ খুব কম। হাতে সময় থাকলে দেখে নিতে পারেন ওয়েব ফিল্ম ‘দ্বিতীয় কৈশোর’।