ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইটভাটায় চার লাখ টাকা জরিমানা করে দুই লাখ টাকার রসিদ দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমিত সাহাকে বরগুনার তালতলী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রিফাত আরা মৌরির সই করা এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে এসিল্যান্ড সুমিতকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাঁঠালিয়া উপজেলার বড় কাঁঠালিয়া গ্রামে মেসার্স ত্বোহা ব্রিকস ফিল্ডে অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এসিল্যান্ড সুমিত সাহা। সেখানে অনিয়মের অভিযোগে চার লাখ টাকা জরিমানা করে দুই লাখ টাকার রসিদ দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযানের সময় ভাটার অন্যতম মালিক মো. এনামুল হকের শ্বশুর হাবিবুর রহমান ও কর্মচারী মফিজুলকে আটক করা হয়। পরে চার লাখ টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলেও জরিমানার রসিদে দুই লাখ টাকা লেখা হয়।
এ বিষয়ে জাগো নিউজসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড সুমিত সাহা ও নাজির মাইনুলকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
তবে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড সুমিত সাহা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, ‘অন্য কেউ টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছি এবং সেই টাকার রশিদ দিয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যার আমার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি উপজেলার মশারিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. অলিউল্লাহ আহাদ সুমিতের ঘুষ-দুর্নীতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত এসিল্যান্ডের বদলির বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানান, সুমিত সাহাকে বরগুনার তালতলী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। এটা তার শাস্তিমূলক বদলি নয়। যে জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া জবাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
Copyfrom: Jagonews24