নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন প্রেমিক জিল্লুর। এতে গর্ভবতী হয় প্রেমিকা। কিন্তু সন্তানের দায় এড়াতে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিতে গেলে প্রেমিক জিল্লুরকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার সরেজমিন গিয়ে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রতিবেশী আক্কাস আলীর ছেলে জিল্লুর রহমানের কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশা শুরু করে জিল্লুর। অনৈতিক মেলামেশার এক পর্যায়ে কিশোরীর গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে বিয়ে করবে মর্মে আপোষ মীমাংসা করা হয়। জিল্লুরের বাবা আক্কাস আলী এতে রাজী না হয়ে ওই কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দেয়।
এদিকে অভিযোগ থেকে বাঁচতে জিল্লুর কিশোরীর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা করতে যান। সেখানে পুলিশ জিল্লুরকে আটক করে।
কিশোরী বলেন, তার গর্ভের ছয় মাসের সন্তান। তার গর্ভের সন্তানের বাবা ও স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য জিল্লুরকে বিয়ে করার দাবি জানান তিনি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিল্লুর মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে এলে তাকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।