বগুড়ার শিবগঞ্জে খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় প্রতিবেশী চাচা শ্বশুরের সাথে উধাও এক সন্তানের জননী গৃহবধূ। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় সাধারণ ডায়রি ও পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছেন। শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ধোপাখুর (পালিহার) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধোপাখুর (পালিহার) গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে মাজেদুর রহমান। পেশায় সিএনজিচালক। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তারই আপন খালাতো বোন বৃষ্টি আক্তারের (আরর্জু) সাথে। বৃষ্টি একই উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের পঞ্চদাস গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে। সম্পর্কের একপর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে দু’জন। তাও পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে। ওই বিয়ে মাজেদুরের পরিবার মেনে নিলেও মানেনি বৃষ্টির পরিবারের। করণ জামাই পছন্দ নয় তাদের। বন্ধ হয়ে যায় দুই পরিবারের যোগাযোগ ও আসা-যাওয়া। এর মধ্যেই মাজেদুর-বৃষ্টির সংসারে জন্ম নেয় শিশু বিপ্লব। তার বয়স এখন চার বছর।
এ দিকে বৃষ্টি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দাম্পত্য জীবনের নতুন সুখের। ওই আশায় প্রতিবেশী চাচা শ্বশুর নয়নের সাথে গড়ে ওঠে তার পরকিয়ার সম্পর্ক। তাদের এ সম্পর্কের বিষয়টি এক সময় নজরে আসে মাজেদুরের পরিবারের। এ নিয়ে হয়েছে অনেক সালিশ দরবারও। তবুও বৃষ্টিকে ফেরানো যায়নি পরকিয়ার সম্পর্ক থেকে। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় বৃষ্টির মনে। মাজেদুরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় মামলা-মোকদ্দমার।
এ দিকে ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৮টা। চার বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন বৃষ্টি। অনেকটা স্বামী ও তার পরিবারের চোখের আড়ালেই পালিয়ে যান বৃষ্টি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের দারস্ত হন মাজেদুর। পরে তার পরামর্শে পরের দিন শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন। সাথে থানায় দাখিল করেন বৃষ্টি ও চাচা নয়নের কথপোকথনের কল লিস্ট। কল লিস্টের সূত্র ধরে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, নয়ন ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছে তার স্ত্রী বৃষ্টিকে। মাজেদুর তার লিখিত অভিযোগে ফিরে পেতে চেয়েছেন তার স্ত্রী-সন্তানকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানায় সাব ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম।