প্র: অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার অফস্ক্রিন জুটি এই প্রথম বার বড় পর্দায় আসতে চলেছে। ঐন্দ্রিলার ডেবিউ। কতটা উত্তেজিত?
ঐন্দ্রিলা: খুবই। আগামী শুক্রবার আমাদের সম্পর্কের দশ বছর পূর্ণ হচ্ছে, সে দিনই মুক্তি পাচ্ছে ‘ম্যাজিক’।
অঙ্কুশ: অভিনয় দেখানোর সুযোগ পাওয়া যাবে, এমন একটা চরিত্র করতে পেরে ভাল লেগেছে। তবে এটা কিন্তু ঐন্দ্রিলার প্রথম ছবি নয়। এর আগে মিলন ভৌমিকের ‘কৃষ্ণা’ ছবিতে নায়িকা ছিল ঐন্দ্রিলা। যদিও তখন ওর মাত্র ১৩ বছর বয়স!
প্র: ছবি মুক্তির পরেই ভ্যালেন্টাইন’স ডে, অঙ্কুশের জন্মদিনও। ছবির প্রচার ছাড়া নিজেদের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
অঙ্কুশ: দর্শক যদি ছবিটা দেখে ভাল সাড়া দেন, তা হলে একটা বড়সড় কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ভ্যালেন্টাইনস ডে-তেই নীল-তৃণার রিসেপশন, সেখানে যাব। প্রত্যেক বছর এমনিতে এই দিনটায় ফ্যানদের জন্য একটা ইভেন্টের আয়োজন করি
প্র: ‘ম্যাজিক’-এর পরে আপনাদের জুটি নিয়ে দ্বিতীয় ছবির কথাবার্তাও এগোচ্ছে। একে অন্যের বিপরীতে টাইপকাস্ট হওয়ার চিন্তা রয়েছে?
ঐন্দ্রিলা: অনেকে ধরে নেন, অফস্ক্রিন জুটি মানেই পর্দাতেও তাঁদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে বারবার। পরিচালক-প্রযোজকরাও অনেক সময়ে সেই ধারণা থেকেই অ্যাপ্রোচ করেন।
কিন্তু আমি বরাবরই কাজ বাছাইয়ের ব্যাপারে খুব খুঁতখুঁতে। যদি সেই প্রজেক্টে আমার তেমন কিছু করার না থাকে, তা হলে শুধুমাত্র অঙ্কুশ আছে বলে রাজি হব না। ‘ম্যাজিক’-এও পরিচালক রাজা চন্দ শুধু আমার জন্যই চরিত্রটা পরে আরও বিশদে তৈরি করেছিলেন।
অঙ্কুশ: প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর সঙ্গে আমাদের পরের ছবির কথাবার্তা চলছে, সুরিন্দর ফিল্মসের ব্যানারে। ঐন্দ্রিলা শুধু অঙ্কুশের সঙ্গেই কাজ করবে বা অঙ্কুশ অন্য কারও সঙ্গে ঐন্দ্রিলাকে কাজ করতে দেবে না— এমন ধারণা না থাকাই ভাল। আর ‘ম্যাজিক’-এর কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও বলতে পারি, আমাদের অফস্ক্রিন রসায়ন ভাঙিয়ে ব্যবসা করতে চাওয়া হয়নি।সেটল করার কথা ভেবেই তো ফ্ল্যাটটা কেনা। ২০২১ সালের শীতের দিকে বিয়ে করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে
– অঙ্কুশ হাজরা
প্র: বড় পর্দায় সবে কেরিয়ার শুরু করলেন ঐন্দ্রিলা। কোন নায়কের সঙ্গে ওর জুটি দেখতে চান অঙ্কুশ?
অঙ্কুশ: কোনও একজনের নাম বলা মুশকিল! যেহেতু ফ্রেশ মুখ, তাই কোনও নতুন নায়কের সঙ্গে ওর জুটি দেখতে মন্দ লাগবে না।
ঐন্দ্রিলা: বাহ্…বেশ সেফ খেললে তো! আমার অবশ্য অঙ্কুশের সঙ্গে মাহিয়া মাহির জুটিই সেরা মনে হয়। বাকি ছবিগুলোর বেশির ভাগেই ওকে নায়িকার ভাই মনে হয়েছে আমার (হাসি)! যদিও সেই ছবিগুলোর নাম বলা যাবে না।
প্র: একসঙ্গে ছবি করার আগেই আপনাদের ভক্তসংখ্যা অনেক। কোনও ‘ক্রেজ়ি ফ্যান মোমেন্ট’ রয়েছে?
ঐন্দ্রিলা: ‘ফাগুন বউ’-এর শেষ দিনে সেটে কয়েক জন দেখা করতে এসেছিলেন আমার সঙ্গে, সকলেই পেশায় শিক্ষিকা। কেক কাটা, আনন্দ করার পরে চলে যাওয়ার সময়ে তাঁরা হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন। তার পর থেকে আমাকে আর তাঁরা টিভির পর্দায় দেখতে পাবেন না বলে কাঁদছিলেন তাঁরা। আমার কাছে সেটা বিরাট প্রাপ্তি ছিল।
অঙ্কুশ: আমি ফ্যানদের জন্য যে ইভেন্টের আয়োজন করি, সেখানেই একবার বাংলাদেশ থেকে এক পরিবার এসেছিল, যাঁদের সন্তান বিশেষ ভাবে সক্ষম। হুইলচেয়ারে বসেই হাত নাড়ছিল আমার দিকে। সেটা দেখতে পেয়ে ওকে কোলে করে স্টেজে নিয়ে আসি। খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম সেই সময়ে।
প্র: নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন সদ্য। ভক্তদের অনেকেরই প্রশ্ন, কবে বিয়ে করছেন আপনারা?
অঙ্কুশ: সেটল করার কথা ভেবেই ফ্ল্যাট কেনা, অনেক দিন থেকেই প্রপার্টিটা দেখে রেখেছিলাম। আর বিয়ে ২০২১-এর শীতে করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। আসলে দুই পরিবারের একসঙ্গে বসা হয়নি ব্যাপারটা নিয়ে। ঐন্দ্রিলাও তো সবে শুরু করল বড় পর্দার জার্নি, একটু এনজয় করে নিক কয়েক দিন (হাসি)!
ঐন্দ্রিলা: সেই… যত দিন না ও সাহস করে বিয়ের কথাটা পেড়ে ফেলতে পারছে, এনজয় করে নিই! সত্যি কথা বলতে, আমরা কোনও কিছু নিয়েই প্ল্যান করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। গত বছরের জন্মদিনটা যেমন আইফেল টাওয়ারের মাথায় কাটানোর কথা ছিল আমাদের। সেখানে করোনার জন্য একটা কেকও জোটেনি! তাই বিয়ে নিয়েও এত আগে থেকে ভাবব না।
প্র: নির্বাচনের আগে অনেক অভিনেতাই বিভিন্ন দলে নাম লেখাচ্ছেন, অনেকে দলবদলও করছেন। আপনাদের কাছে এমন কোনও প্রস্তাব আসেনি?
অঙ্কুশ: এসেছে। দু’তরফ থেকেই এসেছে আসলে।
ঐন্দ্রিলা: যত দিন না মানুষের জন্য কিছু করতে পারার জায়গায় পৌঁছচ্ছি, তত দিন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার রাজনীতি করতে যাওয়ার কোনও মানে নেই।
অঙ্কুশ: এমনিতেই যোগ্যতার চেয়ে বেশি ভালবাসা, সমর্থন পেয়েছি। রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সেই জায়গাটা ঘেঁটে ফেলতে চাই না। কোনও দলের দ্বারা চালিত হতে পারব না। কাজ করতে চাইলে যে রাজনীতি করার দরকার পড়ে না, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ সোনু সুদ। এ ক্ষেত্রে দেব আর ওর কাজকেও আমি কুর্নিশ করি।