নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘বেকুব’ বলেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহান খান। রাজশাহীতে শ্রমিক ফেডারেশনের বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া বাসটার্মিনালে ফেডারেশনের বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শাজাহান খান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ নিয়ে শ্রমিকদের উদ্দেশে কথা বলছিলেন।
এ নিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যেই বুদ্ধিজীবীরা পরিবহন শ্রমিকদের দেখতে পারে না। তারা মনে করে যে, পরিবহন শ্রমিকদের ফাঁসি দিলেই বোধ হয় দুর্ঘটনা সব বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে এইটা যারা বলেন, তারা হাস্যকর কথা বলছেন। পৃথিবীতে বহু দেশেই তো হত্যাকারির ফাঁসির আইন আছে না? তার জন্য কি খুন বন্ধ হয়ে গেছে?
তিনি আরও বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটি একটা প্রেক্ষাপটে তাড়াহুড়ো করে পাস করতে হয়েছিল। ঢাকায় একজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রী গাড়িচাপায় যে মারা গেল মহাখালীতে, তার পরের পরিস্থিতি আপনাদের জানা আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রছাত্রীরা তখন আন্দোলন করছিল। ওই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আইন আমরা কঠোরভাবে পাস করব। আইন সেদিন পাস করতে হলো। সেই আন্দোলন প্রশমিত হলো। আইন যেটা পাস হলো তার অসঙ্গতিগুলো আমরা তুলে ধরেছি।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, যুগোপযোগী আইন করার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরাই কিন্তু দাবি তুলেছিলাম। এরশাদ সাহেবের শাসনামল থেকে আমরা বলে আসছি যুগোপযোগী আইন করতে হবে। তারপর অনেক সরকার পার করলাম। শেখ হাসিনার সরকারে এসে আমরা সেই আইন পাস করাতে পেরেছি। এর মধ্যে সংশোধনীগুলো আমরা দিয়েছি সরকারের কাছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তিনজন মন্ত্রী এই কমিটির মেম্বার ছিলেন, সচিব ছিলেন কয়েকজন। তারা সকলেই কিন্তু আমাদের দাবির যে দিকগুলো যৌক্তিক সেগুলো গ্রহণ করছেন। আশা করছি আগামী সংসদ অধিবেশনে বা বাজেট অধিবেশনে সংশোধনীগুলো পাস হবে।
সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী আরও বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন একজন বিশেষজ্ঞ। উনি বলেন, এই আইন যদি সংশোধন হয় তাহলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। কত বড় বেকুব হলে এ কথা বলতে পারে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই! ওই আইনের মধ্যে আছে, আপনি যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন তাহলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি যেখান-সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার হন, ওইটা কিন্তু ট্রাফিক রুল ভঙ্গ করা হলো। তাহলে ওই রুল যে ভঙ্গ করবে তারও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
এ সময় শাজাহান খান প্রশ্ন রেখে বলেন বলেন তো!? এটা কি যৌক্তিক ইয়ে হলো? আমরা সেক্ষেত্রে বলেছি, এইটা হতে পারে না। আমরা সেটাকে কমিয়ে আনার জন্য বলেছি। এটাকে এক হাজার বা পাঁচশোর মধ্যে আনতে হবে। যারা বলেন সংশোধন দরকার নাই, তারা মূলত আইনই পড়েননি।
শাজাহান খানের বক্তব্য শেষ হলে মঞ্চের সামনে গিয়ে একজন শ্রমিক তার কাছে জানতে চান, ইলিয়াস কাঞ্চনের শাস্তি কেন হলো না। জবাবে শাজাহান খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সরকারকে বলে দিয়েছি ইলিয়াস কাঞ্চন কোনো প্রোগ্রামে থাকলে আমরা মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সেই প্রোগ্রামে যাব না। ২২ অক্টোবর সড়ক নিরাপত্তা দিবস, সেখানে আমরা যাই নাই। কোন শ্রমিকও যায়নি, আমরা নেতারাও যাইনি। একটা কথা শুধু বলে রাখি আপনাদের, আমি এই সমস্ত কথা বলার কারণে আমার বিরুদ্ধে একটা মামলা দিসে, ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা। সেই মামলা চলমান। সেই মামলার একজন উকিল এখানে উপস্থিত। আপনারা দোয়া করবেন মামলায় ওকেই বরং পরাজিত করে তার কাছেই আমরা ক্ষতিপূরণ চাইব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, আর একটা কথা বলে রাখি এই ইলিয়াস কাঞ্চন সে কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মানে কঠোর যা যা করা যায় সবকিছুর জন্য কিন্তু উনি নানাভাবে অবাস্তব কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। উনি তো শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন, কোথাও শ্রমিক ইউনিয়নে জায়গা দেবেন না তাকে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস ও জয়পুরহাট জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আবদুল লতিফ মণ্ডল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।
এ নিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যেই বুদ্ধিজীবীরা পরিবহন শ্রমিকদের দেখতে পারে না। তারা মনে করে যে, পরিবহন শ্রমিকদের ফাঁসি দিলেই বোধ হয় দুর্ঘটনা সব বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে এইটা যারা বলেন, তারা হাস্যকর কথা বলছেন। পৃথিবীতে বহু দেশেই তো হত্যাকারির ফাঁসির আইন আছে না? তার জন্য কি খুন বন্ধ হয়ে গেছে?
তিনি আরও বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটি একটা প্রেক্ষাপটে তাড়াহুড়ো করে পাস করতে হয়েছিল। ঢাকায় একজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রী গাড়িচাপায় যে মারা গেল মহাখালীতে, তার পরের পরিস্থিতি আপনাদের জানা আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রছাত্রীরা তখন আন্দোলন করছিল। ওই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আইন আমরা কঠোরভাবে পাস করব। আইন সেদিন পাস করতে হলো। সেই আন্দোলন প্রশমিত হলো। আইন যেটা পাস হলো তার অসঙ্গতিগুলো আমরা তুলে ধরেছি।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, যুগোপযোগী আইন করার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরাই কিন্তু দাবি তুলেছিলাম। এরশাদ সাহেবের শাসনামল থেকে আমরা বলে আসছি যুগোপযোগী আইন করতে হবে। তারপর অনেক সরকার পার করলাম। শেখ হাসিনার সরকারে এসে আমরা সেই আইন পাস করাতে পেরেছি। এর মধ্যে সংশোধনীগুলো আমরা দিয়েছি সরকারের কাছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তিনজন মন্ত্রী এই কমিটির মেম্বার ছিলেন, সচিব ছিলেন কয়েকজন। তারা সকলেই কিন্তু আমাদের দাবির যে দিকগুলো যৌক্তিক সেগুলো গ্রহণ করছেন। আশা করছি আগামী সংসদ অধিবেশনে বা বাজেট অধিবেশনে সংশোধনীগুলো পাস হবে।
সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী আরও বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন একজন বিশেষজ্ঞ। উনি বলেন, এই আইন যদি সংশোধন হয় তাহলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। কত বড় বেকুব হলে এ কথা বলতে পারে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই! ওই আইনের মধ্যে আছে, আপনি যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন তাহলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আপনি যদি যেখান-সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার হন, ওইটা কিন্তু ট্রাফিক রুল ভঙ্গ করা হলো। তাহলে ওই রুল যে ভঙ্গ করবে তারও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
এ সময় শাজাহান খান প্রশ্ন রেখে বলেন বলেন তো!? এটা কি যৌক্তিক ইয়ে হলো? আমরা সেক্ষেত্রে বলেছি, এইটা হতে পারে না। আমরা সেটাকে কমিয়ে আনার জন্য বলেছি। এটাকে এক হাজার বা পাঁচশোর মধ্যে আনতে হবে। যারা বলেন সংশোধন দরকার নাই, তারা মূলত আইনই পড়েননি।
শাজাহান খানের বক্তব্য শেষ হলে মঞ্চের সামনে গিয়ে একজন শ্রমিক তার কাছে জানতে চান, ইলিয়াস কাঞ্চনের শাস্তি কেন হলো না। জবাবে শাজাহান খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সরকারকে বলে দিয়েছি ইলিয়াস কাঞ্চন কোনো প্রোগ্রামে থাকলে আমরা মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সেই প্রোগ্রামে যাব না। ২২ অক্টোবর সড়ক নিরাপত্তা দিবস, সেখানে আমরা যাই নাই। কোন শ্রমিকও যায়নি, আমরা নেতারাও যাইনি। একটা কথা শুধু বলে রাখি আপনাদের, আমি এই সমস্ত কথা বলার কারণে আমার বিরুদ্ধে একটা মামলা দিসে, ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা। সেই মামলা চলমান। সেই মামলার একজন উকিল এখানে উপস্থিত। আপনারা দোয়া করবেন মামলায় ওকেই বরং পরাজিত করে তার কাছেই আমরা ক্ষতিপূরণ চাইব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, আর একটা কথা বলে রাখি এই ইলিয়াস কাঞ্চন সে কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মানে কঠোর যা যা করা যায় সবকিছুর জন্য কিন্তু উনি নানাভাবে অবাস্তব কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। উনি তো শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন, কোথাও শ্রমিক ইউনিয়নে জায়গা দেবেন না তাকে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস ও জয়পুরহাট জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আবদুল লতিফ মণ্ডল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।