বাড়ির জমির সীমানা বিরোধের জেরে কক্সবাজারে ঈদগাঁওয়ে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক আবুল কালাম অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকার ডেমরায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ১৩ দিনের মাথায় খুনের দায়ে অভিযুক্ত কালামকে গ্রেফতারে সক্ষম হলো পুলিশ।
গ্রেফতার আবুল কালাম (৩৫) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও থানার ইসলামাবাদ চরপাড়ার মৃত জাফর আলমের ছেলে ও পেশায় টমটম চালক। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানায় জোড়া হত্যার মামলা হয়েছে।
রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধরের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার ভোরে ডেমরা থেকে আবুল কালামকে গ্রেফতার করে।
হাবিবুর রহমান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাচি রাশেদা বেগমকে (৩৪) দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন কালাম। তখন রাশেদার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৩) বাধা দিলে কালাম তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেফতারের পর সিআইডি কার্যালয়ে কালাম
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন বলে উল্লেখ করেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, ঈদগাঁওর ইসলামাবাদ উত্তর লরাবাগ চরপাড়ার টমটম চালক আবুল কালাম ও আজিজুল হক বাবুর্চির পরিবারে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবুল কালাম ধারালো দা দিয়ে আজিজুল হকের স্ত্রী রাশেদা ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।
মা-মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘাতক কালাম পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা-মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক আবদুল হালিম বলেন, ঈদগাঁওয়ের মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান অভিযুক্ত কালাম। তাকে ধরতে সিআইডির সহযোগিতা চাওয়া হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডি সোমবার ভোরে কালামকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে বলে জেনেছি। তাকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আবদুল হালিম।
সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম
ফ্রমঃ জাগো নিউজ