১৭ মে ২০১৪, ক্যাম্প ন্যু তে বার্সা বনাম অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ম্যাচ তখন চলমান। লীগ টাইটেল জয়ের জন্য এটিএমের ঐ ম্যাচে ১ পয়েন্ট প্রয়োজন। প্রথমার্ধ শেষে বার্সা ১-০ গোলে এগিয়ে।
ম্যাচের তখন ৪৮ মিনিট। অ্যাতলেটিকো কর্নার পেল। রাইট সাইড থেকে কর্নার নেওয়া হলো, ক্রস এগিয়ে আসছে বক্সের দিকে... বক্সের ভিতরে লাফিয়ে উঠলেন এক উরুগুয়ান, ফ্রি হেড করলেন। বল জালে জড়াল, ৪৮ মিনিটে ম্যাচ ১-১ এ সমতায়।
৯০ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন একই থাকল। ১-১ এর সমতায় পয়েন্ট ভাগাভাগির মাধ্যমে ম্যাচ শেষ হলো। ১ পয়েন্ট নিয়ে টাইটেল নিজেদের করে নিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
দিয়াগো গডিন। অ্যাতলেটিকোর হয়ে টাইটেল জেতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি করেন বার্সার বিপক্ষে। এই গোলের মাধ্যমে অ্যাতলেটিকোর হয়ে ইতিহাস লিখলেন গডিন। গডিনের গোলে এমন সময় অ্যাতলেটিকো লীগ শিরোপা জিতল যখন লীগ টাইটেল দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সা ও রিয়ালের হাতে পুঞ্জীভূত।অ্যাতলেটিকোর নব উত্তানের বড় টনিক ছিল ঐ শিরোপা।
দিয়াগো রবার্তো গডিন ১৯৮৬ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী উরুগুয়ের রোজারিও তে জন্মগ্রহণ করেন। একটা ইনসিডেন্টের কথা না বললেই নয়, মাত্র ৪ বছর বয়সে মাছ ধরতে গিয়ে প্রায় পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছিলে গডিন; সেখান থেকে কারো সাহায্য ছাড়া সাতঁরিয়ে ডাঙ্গায় চলে আসেন তিনি; কতটুকু জাদরেল হলে ৪ বছর বয়সে তলিয়ে যাওয়া থেকে ফিরে আসা যায়!
ওয়াল্ডের ওয়ান অফ দি বেস্ট ডিফেন্ডার গডিন তার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৭ বছর বয়সে সিএ সের্রো এর হয়ে। ৩ বছর পর সের্রো থেকে উরুগুয়ের বিখ্যাত ক্লাব ন্যাশিওনাল দি ফুটবলে যোগ দেন তিনি। অল্পদিনের মধ্যে গডিন ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড নিজের দখলে নিয়ে নিলেন তার তুখোড় ম্যাচুরিটি ও প্রফেশনালিজমের জন্য।
আগস্ট ২০০৭, গডিন লা লীগা ক্লাব ভিয়ারিয়াল সিএফ এর সাথে ৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভিয়ারিয়ালের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টপ ফাইভ লীগের নিজের অভিষেক গোল পেয়ে যান তিনি; যদিও ওসানুনার সাথে ঐ ম্যাচে ২-৩ গোলে হেরে বসে ভিয়ারিয়াল। টপ ফাইভ লীগে নিজের প্রথম সিজনেই ভিয়ারিয়ালের হয়ে ২৪ ম্যাচে মাঠে নামেন গডিন। ৪ ম্যান ব্যাকলাইনে আর্জেন্টাইন গঞ্জালো রড্রিগেজ এর সাথে মিলে দারুন সিবি পেয়ার গড়ে তুলেন গডিন। দিনকে দিন টিমের অনবদ্য স্টার্টার এ পরিণত হয়ে উঠেন তিনি। ভিয়ারিয়ালের হয়ে নিজের শেষ সিজনে সর্বমোট ৩৬ ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি, গোল করেন ৩টি।
৪ আগস্ট ২০১০, ৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ৫ বছরের চুক্তিতে গডিনকে ভিয়ারিয়াল থেকে নিজেদের দলে ভেড়ায় এটিএম। ২৭ আগস্ট মাদ্রিদের ক্লাবের হয়ে অভিষেক হয় গডিনের ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের ম্যাচ দিয়ে। ম্যাচটি ছিল উয়েফা সুপার কাপের ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে কৃতিত্বের সাথে ডিফেন্স সামলান গডিন, এটিএম ইন্টারকে হারায় ২-০ গোলের ব্যবধানে। ১০ এ যোগ দেয়া গডিনের পারফরমেন্সে খুশি হয়ে ১ নভেম্বর ২০১৩ তে এটিএম গডিনের সাথে আরও ৫ বছরের চুক্তি বাড়ায় ; ২০১৮ পর্যন্ত। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে গডিন বলেনঃ ক্লাবের সাথে চুক্তি বাড়িয়ে এই ক্লাবের সাথে থাকতে পারায় আমি খুশি। এটা আমার ঘরবাড়ি।
২০১৩-১৪ সিজন ছিল গডিনের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সিজন। ঐ সিজনে ৪ গোল করেন গডিন। ১টা ছিল বার্সার বিপক্ষে টাইটেল উইনিং গোল ; ঐ গোলে ১৮ বছর পর লীগ টাইটেল জিতে অ্যাতলেটিকো। এর ১ সপ্তাহ পর উচল ফাইনালে রিয়ালের সাথে গোল করে গডিন অ্যাতলেটিকোকে লিড এনে দেন, ৯৪ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখলেও ৯৪ মিনিটে রামোস গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। তারপর অতিরিক্ত সময়ে ডি মারিয়া ম্যাজিকে ৪-১ গোলে হেরে যায় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
অ্যাতলেটিকোতে গডিন এরায়, গডিন ছিলেন কোচ দিয়াগো সিমিওনে এর বড় ত্রাস। সিমিওনের ডিফেন্সিভ ফুটবল এপ্রোচ সফল হওয়ার পিছনের বড় কারণ ছিলেন রক এন্ড সলিড গডিন। আগস্ট ২০১০ এ জয়েন করা গডিন অ্যাতলেটিকোর পুনরুত্তানের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে অ্যাতলেটিকো ইউরোপের অন্যতম ভয়ংকর ও শক্তিশালী ক্লাবে পরিণত হয়। সিমিওনের টিমের গেমপ্ল্যান ইফেক্টিভলি গডিনকে কেন্দ্র করে পরিচালনা হতো। সিমিওনের কাউন্টার এটাকিং এপ্রোচে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সেন্টার হাফদের ডিফেন্সিভ স্ট্যাবিলিটি, আর রক এন্ড সলিড গডিনের উপস্থিতি ও নেতৃত্বে অ্যাতলেটিকোর ব্যাকলাইন ছিল ওয়াল্ডের অন্যতম সেরা ব্যাকলাইন। ২০১৩-১৪ উচলে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সার সাথে এটিএমের ম্যাচ দেখলে এটিএমের গেম এপ্রোচ ও সেখানে গডিনের প্রভাব বুঝে ফেলতে পারবেন। ঐদিন কি দারুনভাবেই না বার্সার ফ্লুইড এটাক ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন গডিন ও কোঃ রা। ২০১৫-১৬ সিজনের সেমিতে বায়ার্ন বনাম এটিএম ম্যাচে রক এন্ড সলিড গডিনের উৎকৃষ্ট নমুনা আপনি পেয়ে যাবেন। ঐ ম্যাচদ্বয়ে গডিনের ব্লকিং আউট অফ ওয়াল্ড ছিল, ওয়ান অন ওয়ানে টমাস মুলারকে ঠেকিয়ে দেয়া ওয়ান অফ দি বেস্ট এবং ক্লাসিয়েস্ট ডিফেন্সিভ ডিসপ্লে অফ উচল। লীগ টাইটেল জয়ী ম্যাচে বার্সার সাথে এটিএম ও গডিনের ডিফেন্সিভ ডিসপ্লে এর কথা না উল্লেখ করলেও গুরুতর অন্যায় হয়ে যায়!
২০১৫ সালে ম্যান সিটির অফার রিজেক্ট করেন তিনি, তৎকালীন ম্যান সিটি বস ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি( তার সাবেক বস) তাকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন। ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তে এটিএমের হয়ে বিদেশী প্লেয়ার হিসাবে সর্বোচ্চ ম্যাচে মাঠে নামার রেকর্ড গড়েন গডিন। ভিয়ারিলের বিপক্ষে ২৮ অক্টোবর মাঠে নেমে লুইস প্রেয়ার এটিএমের হয়ে ৩১৫ ম্যাচে মাঠে নামার রেকর্ড ব্রেক করেন তিনি। ২০১৬ ও ১৮ ব্যালন ডি অর এওয়ার্ডের জন্য গডিন নমিনেশন পান তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য। ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ এ উচলে শেষ ষোলোর ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানে য়ুভেন্তাসকে ২-০ গোলে হারানো ম্যাচে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন গডিন। দলের প্রয়োজনের মুহুর্তে জ্বলে উঠা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া একজন রিয়েল লিডার ছিলেন গডিন। এটিএমের প্রয়োজনের মুহুর্তে সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিবিম্ব হয়ে উঠতেন গডিন। ২০১৯ সালের ৭মে গডিন ঘোষণা দেন তিনি আর কন্ট্রাক্ট বাড়াবেননা, ক্লাবের সাথে ৯ বছরের পিছুটানের অবসান ঘটাবেন। ১ জুন, সেভিয়ার বিপক্ষে গডিন ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড তুলে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকের হাতে, ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়। এটিএমের জার্সিতে ঐ ম্যাচ ছিল গডিনের শেষ ম্যাচ।
১ জুলাই ২০১৯, ইন্টার মিলান ফ্রি তে গডিনের সাথে ৩ বছরের চুক্তি সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন রিপোর্টমতে ১৯ এর জানুয়ারীতেই ইন্টারের সাথে প্রি-কন্ট্রাক্ট করে রেখেছিলেন গডিন। সিরি এ তে ১ সেপ্টেম্বর কানদ্রেবার বদলি হিসাবে ডেব্যু হয় গডিনের ক্যাগলিয়ারি এর বিপক্ষে। ইন্টারের সাথে ১ সিজন কাটিয়ে লোনে যোগ দেন ক্যাগলিয়ারিতে; এখনও ওখানে রয়েছেন তিনি।
পেপ গার্দিওয়ালা ইন্সপায়ার্ড প্রেসিং - পজেশনাল ফুটবলে ট্যাকনিক্যালি সিদ্ধ স্পেশালিস্টরা সম্মুখভাগে উঠে আসতে শুরু করে। স্পেশালইজড ট্যালেন্ট, ইম্প্রেসিভ ট্যালেন্ট ওয়ালা প্লেয়াররা প্রেসিং বেইসড ফুটবলে অলরেডি রেয়ার হয়ে যেতে শুরু করেছে বিশেষ করে সেন্টারব্যাক পজিশনে। যে কয়জন সেন্টারব্যাক আছে তাদের মধ্যে গডিন প্রথম সারির। তার ডিফেন্সিভ স্কিল, পজিশনিং সেন্স, গেম রিডিং এভিলিটি যেকোনো স্ট্রাইকারের জন্য হুমকিস্বরুপ। তার তুখোড় ডিফেন্সিভ স্কিল সেটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওয়ান অফ দি ভেরি বেস্ট সেন্টার হাফ হিসাবে বহাল রয়েছেন। ট্যাকনিক্যালি গিফটেড প্লেয়াররা স্বভাবত সব থেকে বেশি উঠে আসে ল্যাতিন আমেরিকা থেকে, তা যে পজিশনের প্লেয়ারই হোক। উরুগুয়ে থেকে উঠে আসা গডিন উরুগুয়ের ডিফেন্সেরও অন্যতম ভরসার পাত্র ছিলেন বা আছেন। ২০১০ ওয়াল্ড কাপে সেমিফাইনাল খেলা উরুগুয়ে টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই গডিন। ২০১১ কোপা আমেরিকা অসুস্থতার জন্য বেশিরভাগ ম্যাচ মিস করেন গডিন, চ্যাম্পিয়নের মেডেল অর্জন করেন তিনি। এখনও দলের ভরসার পাত্র হয়ে আছেন গডিন।
২০০৫ সালে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ডেব্যু হয় গডিনের। ২০০৬ সালের মে তে জাতীয় দলের হয়ে গোলের খাতা খুলেন সার্ভিয়া এন্ড মন্টেনেগ্রো এর বিপক্ষে। ২০০৭ কোপা আমেরিকাতে দলের সাথে ছিলেন গডিন। পেরুর সাথে ৩-০ গোলে হারা ম্যাচে খেলেন ; ঐ ম্যাচে পুওর পারফরমেন্সের জন্য আন্দ্রেস স্কুত্তির কাছে প্লেস হারান গডিন। ২০১০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাঠে নামেন গডিন। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ১১ কোপা আমেরিকায় দলের সাথে থাকলেও মাত্র ১ ম্যাচে মাঠে নামেন গডিন, দল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন কাপে দিয়াগো লোগানো এর সাথে মিলে ডিফেন্স সামলান গডিন, দল সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌছায়। ঐ টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচের ৪ ম্যাচে মাঠে নামেন গডিন। ২০১৪ বিশ্বকাপে অস্কার তাবারেজ এর অধীনে ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড পড়ার দায়িত্ব পান গডিন। ২৪ জুন, ইতালির বিপক্ষে হেডে গোল করে উরুগুয়েকে নকআউট স্টেজে নিয়ে যান গডিন।
মে ২০১৫, গডিন ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড হাতে চিলি কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার পরের বছর কোপা আমেরিকা সেন্টেনারিওতেও গডিন প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৬ কোপা আমেরিকাতে কার্লোস সানচেজের ক্রস থেকে হেডে গোল করে দলের গোলের মুখ খুলেন গডিন। দুদলই ম্যাচে লালকার্ড দেখে ১০ জনের দলে পরিণত হয়; ম্যাচে শেষমেশ ৩-১ গোলে হারে উরুগুয়ে। উরুগুয়ের হয়ে ১০০ তম ম্যাচে মাঠে নামার কৃতিত্ব পরের ম্যাচে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে অর্জন করেন তিনি; ঐ ম্যাচে ১-০ গোলে হারে উরুগুয়ে। ২০১৮ ওয়াল্ড কাপে গডিন উরুগুয়ের হয়ে মাঠে নামেন। ২৫ মে ২০১৯, থাইল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে উরুগুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচে মাঠে নামার রেকর্ড গড়েন গডিন, পিছনে ফেলেন ম্যাক্সি পেরেইরাকে। ২০১৯ ব্রাজিল কোপা আমেরিকায় কোপা আমেরিকায় উরুগুয়েকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যান গডিন।
একটা ক্যারিয়ার যা ক্লাব লেভেলে (লা লীগা, কোপা দেলরে, ইউরোপা লীগ, সুপারকোপা দে স্পেন, সুপার কাপ) জাতীয় দলে (কোপা আমেরিকা), ইন্ডিভিজ্যুয়ালী ( প্লেয়ার অফ দি মান্থ, ডিফেন্ডার অফ দি সিজন, ২ ব্যালন ডি'অর নমিনেশনে) পরিপূর্ণ ; সেই ক্যারিয়ার অবস্থায় ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয়ার মতো।
দিয়াগো গডিন যখন রিটায়ার করবেন তার নামের পাশে ৮০০ বা তারও অধিক ম্যাচ থাকবে, ৫০টার মতো গোল থাকবে ; যেই গোলগুলোর বেশিরভাগই ক্রুশাল মোমেন্টে করা। সংখ্যাগুলো শুধু হিউজ না অনেক হিউজ। গডিন সেই ডিফেন্ডার যাকে বিট করা অনেক স্ট্রাইকারের জন্য অলমোস্ট অসম্ভব; তা এয়ারে হোক, গ্রাউন্ডে হোক আর যেখানেই হোক। ডিফেন্ডিং এর পদ্ধতি ছিল কখনো ওল্ড ফ্যাশনড ট্যাকলিং, অনবদ্য পজিশনিং, ডিফেন্ডিং সাইডে সব জায়গায় তার উপস্থিতি সরব।
জেরার্ড পিকে গডিনকে বর্ণনা করেছেন - দি সেন্টার হাফ অফ এ জেনারেশন বলে।
পিকের বক্তব্যই বলে দেয় গডিন কে, গডিন কেমন ডিফেন্ডার ছিলেন!
শুভ জন্মদিন দিয়াগো গডিন