বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম

ডিজিটাল ঋণের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। আর এই সফলতার পেছনে মূল অবদান রাখছে সিটি ব্যাংক ও বিকাশ।

বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের গ্রাহকরা জরুরি প্রয়োজনে মোবাইলের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ঋণ নিতে পারবেন। ঋণের সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এই ঋণ পেতে কোনো নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আবেদন করা যাবে বিকাশ অ্যাপে ক্লিক করে।

বিকাশে লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ঠিক করবে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা। ঋণ পাওয়ার যোগ্য হলে তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ব্যাংক ওই গ্রাহককে ঋণ দেবে এবং মুহূর্তেই ঋণের টাকা চলে যাবে ওই ব্যক্তির বিকাশ একাউন্টে।

প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্পের আওতায় বিকাশের কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। সফলভাবে প্রকল্প শেষে বাড়বে ঋণের পরিমাণ ও আওতা।

সিটি ব্যাংক ও বিকাশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রকল্প সফলভাবে শেষ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে এই সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করবে সিটি ব্যাংক। ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত বিকাশ গ্রাহকেরা এই সেবা পাবেন।

জানা গেছে, ঋণ নেওয়ার পরের তিন মাসে সম-পরিমাণ তিন কিস্তিতে নির্ধারিত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহকের বিকাশ হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে। নির্ধারিত পরিশোধ তারিখের আগে গ্রাহককে ক্ষুদে বার্তা এবং অ্যাপসের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে।

সিটি ব্যাংকের এই ডিজিটাল ঋণ গ্রহণকারীরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন কিনা, তা মূল্যায়িত হবে। পরবর্তীতে যে কোনো ধরনের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেই এই মূল্যায়ন বিবেচিত হবে। কোনো গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিধিবিধান অনুসরণে সিটি ব্যাংক ঋণ খেলাপির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে।
Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post