৯ বছরের শিশু রায়ানের মাসে আয় ২০ কোটি টাকা! | 9 year old Ryan earns 200 crore a month!

৯ বছরের শিশু রায়ানের মাসে আয় ২০ কোটি টাকা!




অক্লান্ত পরিশ্রম মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে এটাই হয়তো তার প্রমাণ। শিশু বয়সে যখন অন্যরা স্কুলে পড়তে যায়, মাঠে খেলাধুলা করে সেই বয়সে এই শিশু ইউটিউব থেকে আয় করে রীতিমতো ধনীদের কাতারে দাঁড়িয়ে আছে।রায়ান কাজি, বয়স তার ন’বছর। এই বয়সের আর পাঁচটা শিশু যখন স্কুল-বাড়ি-খেলার মাঠ করে জীবন কাটায়, সেই বয়সেই সে রীতিমতো ধনী। 

‘ফোর্বস’ এর হিসাব অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে লাগাতার ইউটিউব থেকে সব থেকে বেশি আয় করেছে এই খুদে শিশু। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই তার রোজগার প্রায় তিন কোটি ডলার।রায়ান যুক্তরাষ্টের টেক্সাসের বাসিন্দা। ২০১৫ সাল থেকে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে সে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। সেখান থেকেই শুরু। ক্রমে দ্রুত বাড়তে থাকে ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ নামের চ্যানেলোটির সাবস্ক্রাইবার ও ভিউয়ার। আর তত বেশি উপার্জনও হতে থাকে তার।শুরুতেই চ্যানেলটির নাম ছিল ‘রায়ান টয়স রিভিউ’। নাম থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কী হয় এই চ্যানেলে। হ্যাঁ, বাক্স থেকে খেলনা বার করে সেগুলির রিভিউ করাই হচ্ছে রায়ানের কাজ। একবার একটি মুভি কারের রিভিউ ভাইরাল হওয়ার পরই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যায় রায়ান। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকানোর দরকার পড়েনি তার।এই মুহূর্তে নয়টি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করে রায়ান। যদিও ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ এর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যার সঙ্গে বাকিগুলির তুলনাই চলে না। ওই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৩ কোটি! বাকি চ্যানেলগুলিতে অবশ্য কেবল খেলনার রিভিউ হয় না। সময়ের সঙ্গে নতুন নতুন কনটেন্ট নিয়ে এসেছে ছোট্ট রায়ান। এছাড়া রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ নামে তার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটও আছে। পাশাপাশি নিকলোডিয়ন চ্যানেলে তার টিভি সিরিজও চলে।তবে রায়ানের ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কিন্তু অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ হল, চ্যানেলের বিনিয়োগকারীদের নাম যথাযথ ভাবে প্রকাশ করা হয় না। বলা হচ্ছে, ৯ শতাংশ ভিডিওর মধ্যে অন্তত একটি করে ‘পেইড প্রোডাক্ট’ থাকে। অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে ওই ব্র্যান্ডগুলির জিনিসের রিভিউ করে রায়ান। সূত্র: সিএনএন
Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post