মহামারি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে প্রায় তিন সপ্তাহ যুদ্ধ করে পরাজিত হলেন মার্কিন টিভি, রেডিও সঞ্চালক কিংবদন্তি সাংবাদিক ল্যারি কিং।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার সিনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ল্যারি কিংয়ের প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া কোম্পানি ‘ওরা মিডিয়া’ টুইটারে এক টুইটের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
তারা লিখেছে, ‘গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আমাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, আয়োজক এবং বন্ধু ল্যারি কিংকে আমরা হারিয়েছি।’ এছাড়া ল্যারি কিংয়ের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, আজ সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার্স-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে ল্যারি কিং প্রয়াত হয়েছেন। ৬৩ বছর ধরে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিট্যাল মিডিয়ায় তিনি কয়েক হাজার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি চিরকাল কাজের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমুক্ত থেকেছেন।’
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কিংবদন্তি এই সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিং’য়ের টাইপ ২ ডায়াবেটিস ছাড়াও তার বেশ কয়েকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং ১৯৮৭ সালে তার বাইপাস সার্জারি হয়।
২০১৭ সালে কিং’য়ের ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে সময় তার অপারেশন হয়েছিল। নিজের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ল্যারি কিং কার্ডিয়াক ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন।
তিনি ২৫ বছর সিএনএন’এ ‘ল্যারি কিং লাইভ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন। সে সময় তার অনুষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, তারকা ও খেলোয়াড়সহ স্বনামধন্য ব্যক্তিরা যোগ দিতেন। একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন ল্যারি কিং। তবে সেটা ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও সাক্ষাৎকার নেন ল্যারি কিং। ১৯৯৫ সালে তিনি পশ্চিম এশিয়া শান্তি সম্মেলনের উপস্থাপক ছিলেন। সেই সম্মেলনে পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফত, জর্ডনের রাজা হুসেন, ইজরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইৎঝ্যাক রবিন উপস্থিত ছিলেন। দালাই লামা থেকে এলিজাবেথ টেলর, মিখাইল গর্বাচেভ, বারাক ওবামা, বিল গেটস, লেডি গাগার মতো ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নেন ল্যারি কিং।
‘ল্যারি কিং লাইভ’ অনুষ্ঠানটির ৬ হাজারেরও বেশি পর্বের পর ২০১০ সালে ল্যারি কিং অবসর নেন। তবে বছর দুয়েক পর তিনি ওরা টিভিতে ‘ল্যারি কিং নাউ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবার টকশোতে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
ল্যারি কিংয়ের প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া কোম্পানি ‘ওরা মিডিয়া’ টুইটারে এক টুইটের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
তারা লিখেছে, ‘গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আমাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, আয়োজক এবং বন্ধু ল্যারি কিংকে আমরা হারিয়েছি।’ এছাড়া ল্যারি কিংয়ের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, আজ সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার্স-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে ল্যারি কিং প্রয়াত হয়েছেন। ৬৩ বছর ধরে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিট্যাল মিডিয়ায় তিনি কয়েক হাজার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি চিরকাল কাজের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমুক্ত থেকেছেন।’
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কিংবদন্তি এই সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিং’য়ের টাইপ ২ ডায়াবেটিস ছাড়াও তার বেশ কয়েকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং ১৯৮৭ সালে তার বাইপাস সার্জারি হয়।
২০১৭ সালে কিং’য়ের ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে সময় তার অপারেশন হয়েছিল। নিজের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ল্যারি কিং কার্ডিয়াক ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন।
তিনি ২৫ বছর সিএনএন’এ ‘ল্যারি কিং লাইভ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন। সে সময় তার অনুষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, তারকা ও খেলোয়াড়সহ স্বনামধন্য ব্যক্তিরা যোগ দিতেন। একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন ল্যারি কিং। তবে সেটা ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও সাক্ষাৎকার নেন ল্যারি কিং। ১৯৯৫ সালে তিনি পশ্চিম এশিয়া শান্তি সম্মেলনের উপস্থাপক ছিলেন। সেই সম্মেলনে পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফত, জর্ডনের রাজা হুসেন, ইজরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইৎঝ্যাক রবিন উপস্থিত ছিলেন। দালাই লামা থেকে এলিজাবেথ টেলর, মিখাইল গর্বাচেভ, বারাক ওবামা, বিল গেটস, লেডি গাগার মতো ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নেন ল্যারি কিং।
‘ল্যারি কিং লাইভ’ অনুষ্ঠানটির ৬ হাজারেরও বেশি পর্বের পর ২০১০ সালে ল্যারি কিং অবসর নেন। তবে বছর দুয়েক পর তিনি ওরা টিভিতে ‘ল্যারি কিং নাউ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবার টকশোতে ফিরে এসেছিলেন তিনি।