বিয়ানীবাজার থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন মা অজ্ঞান, মালামাল নিয়ে উধাও গৃহকর্মী

বিয়ানীবাজার থেকে বাড়ি ফিরে এসে  দেখলেন মা অজ্ঞান, মালামাল নিয়ে উধাও গৃহকর্মী 
বিয়ানীবাজার থেকে বাড়ি ফিরে এসে  দেখলেন মা অজ্ঞান, মালামাল নিয়ে উধাও গৃহকর্মী

অসহায়ত্ব দেখে মানবিক কারণে ষাটোর্ধ্ব এক নারীকে গৃহকর্মী হিসেবে বাড়িতে কাজ দিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী হাজেরা বেগম (৭৬)। সেই প্রতারক গৃহকর্মীর কারণে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুণতে হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ ওঠেছে, চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়েছে প্রতারক গৃহকর্মী মরিয়ম (জয়নব)।

আহত বৃদ্ধা হাজেরা বেগম ৩ দিন ধরে সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারী নিজেকে মরিয়ম (জয়নব) পরিচয়দানকারী ষাটোর্ধ্ব মহিলা বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের বাড়িতে নিজের অসহায়েত্বর কথা বলে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ চায়। বৃদ্ধা হাজেরা বেগম দেশে বসবাস করলেও তার ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। অপর ছেলে সেলিম আহমদ স্ত্রী-সন্তানসহ বড়থল গ্রামে বসত বাড়িতে থাকেন। তার সাথে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমও বসবাস করেন। জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা এলাকায় বাড়ি থাকলেও স্বামী-সন্তান কেউ নেই বলায় হাজেরা বেগম ও তার ছেলে সেলিমের দয়া হয়। তাই তারা কথিত ওই নারীকে ঘরের কাজের জন্য রেখে দেন। গত শুক্রবার বিকেলে সেলিম আহমদ বৃদ্ধা মা ও কাজের মহিলাকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী-সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে বিয়ানীবাজার উপজেলায় যান। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে মাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো ও কথিত কাজের মহিলাকে খুঁজে পাননি। পরে দেখেন মায়ের গায়ের ও ঘরের বিভিন্ন আলমারীতে থাকা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, টাকাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে কথিত কাজের মহিলা পালিয়ে গেছে।

সেলিম আহমদ আরও  জানান, তার মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাবতেও পারেননি এভাবে ভুয়া নাম-ঠিকানা বলে অনুনয়-বিনয় করে ঘরে ঢুকে সুযোগ বুঝে সবকিছু নিয়ে উধাও হবে। চিকিৎসকরা বলছেন তার মায়ের শরীরে উচ্চ মাত্রার চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে। সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আইসিইউতে মায়ের চিকিৎসা চলছে। এব্যাপারে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বড়লেখা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার রোববার বিকেলে জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছেন। তবে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তথ্যসূত্র- সিলেটভিউ২৪ডটকম।

Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post