চৌমুহনী পৌরসভা: স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা-ভাঙচুর
নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
রোববার সকালে চৌমুনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা গাজী আমানউল্লা মিয়ার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মেয়র প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মোবাইল মার্কার নির্বাচনী প্রচারে যাই। এ সময় হঠাৎ চৌমুহনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ও ইসমাইলের নেতৃত্বে নৌকার ব্যাচ পরিহিত একটি গ্রুপ পেছন থেকে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
এ সময় আমাদের একজন নারী কর্মীকে তারা বেধড়ক মারধর করে এবং আমাকেসহ ৭-৮ জনকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় এসে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। চৌমুহনী বাজারের প্রধান সড়ক থেকে মিছিলটি বের করে চৌরাস্তার রুহুল আমিন স্কয়ারে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সাল বলেন, তার কোনো কর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। মোবাইল ফোন প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীরা আগের রাতের টাকা-পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করেছে।
তিনি বলেন, যখন এ ঘটনা ঘটে, তখন সেখানে নৌকার কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। তিনি অযথা নির্বাচন পরিস্থিতি উতপ্ত না করার জন্য সবার প্রতি আবেদন করেছেন।