ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বাবাকে ফোন করেছিল আনুশকা

কলাবাগানে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া কিশোরী আনুশকার ফোন থেকে ঘটনার দিন দুপুর ১২ টা ১৯ মিনিটে তার বাবাকে ফোন করা হয়েছিল। আনুশকার বাবা রোববার (১০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইফতেখার ফারদিন দিহান এবং তার বন্ধুরা যখন আমার মেয়েকে নির্যাতন করছিল, তখন মেয়েটা আমার বাঁচার জন্য ফোন করে। কিন্তু মিটিং থাকায় আমি কল রিসিভ করতে পারি নাই। এটাই ছিল ভুল। কল রিসিভ করতে পারলে পরিস্থিতি আজ ভিন্ন হতো।



পুলিশ জানায়, সব তথ্য বিবেচনা করেই তদন্ত করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।



এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আমার স্ত্রী ও আমি বের হয় হই। পরে আমার মেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে।
Author

ask

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post